আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রাচীন সভ্যতাগুলিকে নিয়ে গবেষণা যত বাড়ছে, ততই চোখ কপালে উঠতে বিজ্ঞানীদের। ফের তেমনই একটি ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করলেন বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে মিশর, গ্রীস ও রোমান সভ্যতায় ধনে বীজ শুধু মশলা বা ওষুধ হিসেবেই নয়, বরং জল পরিশোধনের প্রাকৃতিক উপকরণ হিসেবেও ব্যবহৃত হত। বিশেষত মিশরে নীলনদের তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী জনগণ লক্ষ্য করেছিলেন, ধনে বীজ জলে ফেলার দীর্ঘদিন পরেও জলের স্বাদ বিশুদ্ধ লাগে।
আধুনিক গবেষণায় কী মিলেছে?
সাম্প্রতিক গবেষণায় এমআইটি এবং গুয়াতেমালার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, ধনে বীজে এমন কিছু প্রাকৃতিক যৌগ রয়েছে, যা জলে থাকা লোহা, সিসা, আর্সেনিক ইত্যাদি ভারী ধাতুকে শোষণ করে নেয়। পাশাপাশি এটি ব্যাকটেরিয়া এবং ক্ষতিকারক অণুজীব দমন করে। জলকে গন্ধমুক্ত ও স্বচ্ছ করতেও সাহায্য করে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ধনে বীজের বাইরের খোসায় থাকা বায়োপলিমার ও তন্তুযুক্ত আঁশ ভারী ধাতুকে আটকে রাখে।
এখনও কি এটি ব্যবহারযোগ্য?
হ্যাঁ, আজও ধনে বীজ দিয়ে জল পরিশোধন সম্ভব, বিশেষ করে গ্রামীণ ও দূষিত অঞ্চলে যেখানে জটিল ফিল্টার প্রযুক্তি পৌঁছায়নি। নিম্ন-আয় সম্পন্ন দেশগুলোতে ধনে বীজ দিয়ে তৈরি সরল ফিল্টার ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে মনে রাখতে হবে এটি আপৎকালীন ব্যবস্থা। সব ধরনের জীবাণু নাশ করা ধনে বীজের পক্ষে সম্ভব নয়।
